এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লালমনিরহাটে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেত থেকে আগাম আলু তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এ জেলার আলু চাষী ও কৃষক-কৃষাণীরা। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ১৭হাজারেরও অধিক কৃষক এখন তাদের চাষ করা আলু ঘরে তুলে আনার জন্য ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
এ জেলার মানুষের চাহিদার বেশী ফলন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার কথা বলেছেন এ জেলার দায়িত্বে থাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের কর্মকর্তারা। যদি আবাদি আলুর বাজার দর ঠিক থাকাসহ বিদেশে আলু রপ্তানি করা যায় তাহলে এখানকার কৃষকগণ আলু চাষে লাভবান হয়ে ওঠবেন।
লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার প্রায় সবগুলো গ্রামের কৃষক-কৃষাণী আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আলু চাষী মোঃ দরবেশ আলীসহ অন্যান্য কৃষকেরা বলেন, বাজারে আগাম আলুর দাম ভালো পাওয়ায় আলু উত্তোলন শুরু করেছি।
অপরদিকে বর্তমানে আলুর মৌসুম থাকা সত্বেও বাজারে খুচরা ক্রেতারা কিনছেন ৩৩-৩৫টাকা প্রতি কেজি আলু।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, এই আলু চাষে যেমন লাভবান হচ্ছেন চাষীরা, তেমনি এই অভাবের সময় আলু উত্তোলনের কাজ করে জীবন যাপন করছেন আলু ক্ষেতে কাজ করা দিনমজুরগণ।
প্রসঙ্গত, এ বছর লালমনিরহাট জেলায় ৬হাজার ৪শত ৫৫হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। তবে বর্তমান বাজার মূল্য ভালো আছে।